কেনো অভিজ্ঞ ফ্রিলান্সাররা নতুনদের সাহায্য করতে উৎসাহবোধ করে না?

(Last Updated On: June 26, 2023)

আগেই বলেছিলাম যে, এই ব্লগটা ম্যারাথন ব্লগ হবে। তাই সময় নিতে পড়তে হবে। তবে আপনি নতুন হলে আপনার উপকারে আসবে এতে কোন সন্দেহ নেই।

প্রথমেই একটা গল্প দিয়ে শুরু করবো। 2015 সালে আমার একজন  মেয়ে বন্ধকে আমি কম্পিউটার শিখাচ্ছিলাম। বলা বাহুল্য, সে আদুরে ঘরের মেয়ে। জীবনে যা চেয়েছে সে তাই পেয়েছে। তাই বেশি ঝামেলা সহ্য করার ক্ষমতা খুব কম। তাকে যখন ফেসবুক শিখাচ্ছিলাম তখন আমি গ্রামীনফোনের একদম সুপার স্পিডের থ্রিজি ব্যবহার করছিলাম। হয়তো কোন এক কারনে হঠাৎ পেজ লোড নিতে একটু দেরী হয়েছিলো। তাও বেশি না। ১০ – ১৫ সেকেন্ড। এতেই সে খুব হতাশ হলো। বললো যে, এতো দেরিতে পেজ লোড হলে সে ইন্টারনেট শিখবে না। হোয়াট দ্যা ফা***!

আরো পোষ্টঃ ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার পূর্নাঙ্গ গাইডলাইন (নতুনদের জন্য)

গল্পটার বলার উদ্দেশ্য হলো যে, যখন একজন তরুন বয়সের ছেলে বা মেয়ে হলিউড/ বলিউড মুভি দেখে বাস্তব জীবনকেও চলচিত্রের মতো সহজভাবে কল্পনা করবে তখন তাদের শিখানো সত্যিই মহা মুশকিল। আমি নিজেই তিন বছর টুজি ব্যবহার করেছি। কয়েক মিনিট বসে থাকার পর পেজ লোড হতো। এভাবেই শিখতে হয়েছে সবকিছু। এখন আমি কিভাবে তার চাওয়া পূর্ন করবো? আমার সে সাধ্য নাইরে ভাই।

আমার ফেসবুকঃ  http://facebook.com/shamimhsm

avoid-freshers

এইবার মেইন কথায় আসি। পৃথিবীতে কোন কাজই একদম সহজ নয়। তার মধ্যে অনলাইনে আয় করাতো কোনভাবেই সহজ কাজ নয়। যে বলবে যে অনলাইন কাজ করা সহজ ধরে নিবেন সে হয়তো আপনার সাথে মজা করছে। নয়তো সে কোন ভুইফোড় ট্রেনিং সেন্টারের মালিক পক্ষের লোক। একজন সফল ফ্রিলান্সারই একমাত্র জানে যে, কি পরিমান পেইন সহ্য করার পর তারা অনলাইনে নিজের ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠা করছে। আর কথা বাড়িয়ে লাভ নেই। এখন নির্দিষ্ট কারনগুলি নিয়ে আলোচনা করবো।

আরো পোষ্টঃ অনলাইন প্রফেশনালদের বিড়ম্বনা ও কিছু বিরক্তিকর অভিজ্ঞতা

১। একজন সফল ফ্রিলান্সারের জীবনী যদি জানতেন, তবে আপনি নিজেই প্রত্যেককে “লিজেন্ড” উপাধিতে ভূষিত করতেন। বিশ্বাস করুন, তারা শতবার ব্যর্থ হয়েছে। কাউকে সে কথা বলেনি। রাতের পর রাত পার করেছে শুধু তার স্কিল ডেভেলাপমেন্ট করার জন্য। আর পক্ষান্তরে যখন একজন ছোটভাই তার কাছে এসে আবদার করে, “ভাইয়া, দয়া করে আমাকে সহজে ইনকাম করার কোন উপায় দেখিয়ে দিন ” ।

তখন বড় ভাইয়াটি লজ্জায় লাল হয়ে যাওয়ার মতো বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে। বড় ভাইটি ভালো করেই জানে যে, লং টার্ম ইনকাম করার জন্য শর্টখাট কোন উপায় নাই। ফ্রিলান্সিং কোন সরকারী চাকরি নয় যে, মামা, খালু বা বড় ভাই থাকলেই তার রেফারেলে চাকরি পেয়ে গেলেন, আর সাড়া জীবন ঠ্যাং এর উপর ঠ্যাং তুলে মাসে মাসে বেতন নিবেন। নো ব্রাদার, ইট ইজ নট পসিবল। আপনার বড় ভাই আপনাকে কোনরকম বুঝ দিয়ে গা ঢাকা দিবে।

২। প্রত্যেকটা সফল ফ্রিলান্সার তার নিজ আগ্রহে সফল হয়েছে।  কম্পিউটার, ইংরেজী দক্ষতা ,ইন্টারনেট থাকুক বা না থাকুক। তার আগ্রহের কাছে এইসব কোন ব্যাপার নাহ। নিজের আগ্রহ এতো বড় একটা ব্যাপার যে, এটা ছাড়া আপনার শরীরে কম্পিউটার আঠা দিয়ে লাগিয়ে দিলেও আপনি জীবনে অনলাইন প্রফেশনাল হতে পারবেন না। যখন আপনি আর্থিকভাবে সমস্যায় পড়ে এক্সপার্ট কোন এক বড় ভাইয়ের কাছে যাবেন খালি কাড়ি কাড়ি টাকা ইনকাম করার জন্য, তখন আপনার বড় ভাই খুব সহজেই বুঝে নেবে যে, আপনার এখানে শিখার ইচ্ছা নাই। শুধু টাকা ইনকামের ধান্ধা। এক্ষেত্রেও সে আপনাকে সাহায্য করতে চাইবে না।

আরো পোষ্টঃ অনলাইন প্রফেশনাল হিসাবে আপনার যাদেরকে ফলো করা উচিত

৩। পত্যেকটা অনলাইন প্রফেশনালই খুব ব্যস্ত থাকে। তাদের হাতে আহামরি কোন সময় থাকে না। আপনারা ফেসবুকে তাদের ঘুরাঘুরির যে ছবি দেখে থাকেন, তা হলো তাদের অবসর সময়ে ঘুরতে যাওয়ার ছবি। হয়তো নতুন হিসাবে আপনি ভেবে থাকবেন যে, ইশ! কত্ত স্বাধীনতা অনলাইন কাজের মধ্যে। নাহ! ব্যাপারটি মোটেও এতো সোজা নয়। সে হয়তো কোন রকম বাসায় ফিরে ছবি টি আপলোড দিয়েই কাজে নেমে পড়েছে। সেটা আমরা কেউ ভাবতে চাই না।

যাইহোক, আপনি যখন কোন বড় ভাইয়ের কাছে সাহায্য চাইবেন, সে আপনাকে সাহায্য করতে চাইলেও পারবে না, কারন তার ক্লায়েন্ট তাকে মুলি বাঁশ দিচ্ছে তার প্রজেক্ট ডেলিভারি দেওয়ার জন্য। এমন অবস্থায় আপনি তাকে ভাবওয়ালা বলতে পারবেন। কিন্তু তার প্যারাটা আপনি তখন ই বুঝবেন যখন একদিন আপনি এক্সপার্ট হবেন। আপনি হয়তো সেটা না ভেবেই তাকে কষ্ঠ দিয়ে কিছু বললেন বা গালাগালি দিবেন ম্যাসেজে। ব্যাস। তার মনটা ভেঙ্গে গেলো। আপনার সাথে আরো ১০ জন নতুনরা তাদের সাহায্য থেকে বঞ্চিত হলো।

৪। যখন কোন বড় ভাই আমাদের কিছু টিপস দিলো, তখন হুমড়ি খেয়ে তাকে ম্যাসেজ দেওয়া শুরু হলো। ব্যাস। একটা ব্যস্ত মানুষ যদি প্রতিদিন ৫০ টা ম্যাসেজের রিপ্লাই দেয়, তবে তার কাজ টা কে করে দিবে শুনি? ব্যক্তিগতভাবে সাহায্য কামনা করাটা বোকামী ছাড়া আর কিছুই না। মনে রাখবেন, টিপস শেয়ার করে কেউ কোটিপতি হয়ে যায় না। তাকে তার নিয়মিত কাজ চালিয়ে যেতে হয়।

আরো পোষ্টঃ ফ্রিলান্সিং- মধ্যবিত্ত পরিবারের তরুনদের স্বপ্নভঙ্গের নতুন ভাইরাস! দায়ী কে?

তাই তাকে ম্যাসেজ দিয়ে তার কাছ থেকে রিপ্লাই আশা করাটা সব সময়ের জন্য যথার্থ নাও হতে পারে। কারন, বড় ভাই ভালো করেই জানে যে,  যে শিখার সে ২০ ভাগ ক্লু পেয়ে গেলে বাকী ৮০ ভাগ নিজে নিজে খুজে বের করে নিবে।  আর যে ব্যক্তি বাকি ৮০ ভাগ খুজে নিতে পারবে না, মূলত তার অনলাইনে আয় করার যোগ্যতাই হয় নাই। আর আমরা এমন স্বভাবের যে, আমরা চাই বড় ভাইরা আমাদের ঘন্টার পর ঘন্টা আমাদের সবকিছু সমাধান করে দিবে। না দিলেই ম্যাসেজ আমরা বংশ পরিচয়ের কথা ভুলে গিয়ে গালাগালি করি। বড় ভাইয়ের মন ভেঙ্গে যায় আর ভবিষ্যতে কোন সাহায্য পাই না।

৫। হয়তো অনেকেই সাহায্য করতে চায় কিন্তু যখন দেখে যে, সাহায্য করা মাত্র আমাদের বাঙ্গালী ভাইয়ারা বীরের বেশে স্প্যামিং করছে, ইউটিউবে চটি গল্প নিয়ে ভিডিও পোষ্ট করছে তখন আর কি? সোজা চুপ হয়ে যায়। কারন আমার ব্যক্তিগত রিসার্চ বলে যে, অন্তত ২০% মানুষ শুধু কপি পেষ্ট বা স্প্যামিং করে ইনকাম করার ধান্ধা করে। তারা মার্কেটে বাংলাদেশের মান বজায় রাখতে কৌশলে নিজেকে লুকিয়ে রাখে।

আরো পোষ্টঃ এডসেন্স এডস লিমিট কি, কারন ও সমাধান

৬। একজন হেল্পফুল মাইন্ডের মানুষ যে কিনা আবার সত্যিই নতুনদের সাহায্য করতে চায় তাকে আবার আমরা সময়ে, অসময়ে ম্যাসেজ দিয়ে জানতে চাই, “ভাইয়া কেমন আছেন? / আসসালামুয়ালাইকুম ভাইয়া / ভাইয়া বাসার সবাই ভালো? / ভাইয়া, আপনার শরীরটা ভালো? / ভাইয়া আপনার দিনকাল কেমন যাচ্ছে ”  আহা……… কত ফরমালিটি। কিন্তু সত্যি কথাটা কি জানেন, অনলাইন প্রফেশনালদের কাছে এই সকল বিষয়গুলি খুব বিরক্তির কারন হয়ে দাড়ায়।

আপনি একজন বড় ভাইকে সোজা ম্যাসেজ দিয়ে আপনার সমস্যার কথা বলবেন। এতো ফরমালিটির দরকার নাই। কারন যদি আপনি ব্যক্তিগত ভাবে পরিচিত না হোন, তবে কুশলাদি বিনিময় করা অনেক ক্ষেত্রে বিরক্তির কারন হয়ে দাড়ায়।  আর আপনার বড় ভাই ভালো করেই যানে যে, আপনার অনলাইনের ব্যাপারে সাহায্য দরকার ও আপনি তাকে ফেসবুকে অনেক দিন ধরে ফলো করতেছেন। সো? সোজা প্রশ্ন করুন, উত্তর পাবেন। তবে হ্য। আপনি ‍যদি আবার সালামের সাথে সাথে আপনার প্রশ্নটাও জুড়ে দেন তবে বিরক্ত হবার কোন কারন নাই। আপনি আপনার উত্তর পাবেন। শুধু সালাম দিয়ে বসে থাকলে ্অনেক ক্ষেত্রে আপনি ‍কোন রিপ্লাই না পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

৭। অনেক ক্ষেত্রে আমাদের সাহায্য চাওয়ার ধরনটা এইরকম যে, “ভাইয়া, আমি অনলাইনে আয় করতে চাই, প্লিজ আমাকে সাহায্য করুন”। অনলাইনে এতো বেশি পরিমান রিসোর্স থাকার পরেও কাউকে এমন প্রশ্ন করলে মেজাজ বিগড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়। আপনার কি মনে হয় এখন আপনার বড় ভাই আপনাকে সবকিছু বিস্তারিত বলে দেবে?

কিংবা আপনাকে হাতে ধরে শিখাবে? এতো টাইম কোন ফ্রিলান্সারের হবে না। এই প্রশ্নটা দেখলেই আমার মন মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। একদম সোজা সাপ্টা নির্দিষ্ট প্রশ্ন করুন। আপনার বড় ভাই যখন বুঝতে পারবে যে, আপনি রিসার্চ করেছেন  এবং কোথাও গিয়ে আটকে গিয়েছেন, দেখবেন ভালো একটা রিপ্লাই পেয়েছেন। সাথে একটা স্মাইলিও পেতে পারেন। পরিশ্রমী ফ্রেশারদের প্রত্যেকটা এক্সপার্টই সাহায্য করতে ভালোবাসে।

আরো পড়ুনঃ ফটো এডিটিং শেখার পূর্নাঙ্গ গাইডলাইন

৮। “ভাই আপনার ফোন নাম্বারটা একটু দিবেন প্লিজ” এই প্রশ্নটা আমি খুব বেশি বিরক্তের চোখে দেখি। খাওয়ার সময়টা পাইনা। সেখানে কারো সাথে ফোনে কথা বলার মন মানুষিকতা ক্যামনে হবে? ফোনে কথা বলে ফ্রিলান্সার হওয়া যায় না রে পাগলা। তবে পূর্ব পরিচিত হলে আলাদা ব্যাপার। কোন বড় ভাইয়ার কাছে ফোন নাম্বার চাইলে যথার্থ কারন দেখিয়ে ফোন নাম্বার চাইবেন। এতে আপনার বড় ভাই বুঝে নেবে যে, আপনার সাথে কথা বললে আপনার কোন উপকার হবে। উদ্দেশ্যবিহীন ভাবে ফোন নাম্বার চাইলে ম্যাসেজ সিন ই করবে না।

৯। আমাদের মধ্যে খায়িয়ে দেওয়ার  একটা ব্যাপার থাকে। অর্থাৎ, কেউ কোন টিওটোরিয়াল বা টিপস দিলে কেনো সে একেবারে আপনাকে শরবত বানিয়ে খায়িয়ে দিলো না, তাই তাকে গালাগালি করতে আমাদের গায়ে লাগে না। অথবা আপনি এমন সকল প্রশ্ন করবেন যে, সে প্রশ্ন করার কোন প্রয়োজন ই আপনার নাই। সামান্যতম রিসার্চ করতে না পারলে আপনার অনলাইনে কাজ করার যোগ্যতাই হয় নি। দয়া করে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করুন।

১০। কারো ভালো কাজের যথাযথ মূল্যায়ন না করে আমরা সমালোচনাই বেশি করি। এতে এক্সপার্টদের মন ভেঙ্গে যায়। বাংলাদেশের বিগিনার ডেভেলাপারদের জন্য রাসেল ভাই ও নুরুল্লাহ ভাইয়ের টিউটোরিয়াল আশির্বাদসূরপ। ইউটিওব ও টিস্প্রিং এর ক্ষেত্রে জাফি ভাইয়ের অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু যখন তাদের এ কাজগুলিকে প্রসংসা না করে বেশি সমালোচনা করা হবে তখন তাদের মন ভেঙ্গে যাওয়াটাই স্বাভাবিক।

আরো পড়ুনঃ ওয়ার্ডপ্রেস শেখার পূর্নাঙ্গ গাইডলাইন – নতুনদের জন্য

আর তখন দেখবেন যে, বড় ভাইরা খালি ফেসবুকে ফানি ভিডিও পোষ্ট করবে আর বাংলিশ কমেন্ট করে মজা নিবে। কারন তারা আজাইরা পরিশ্রম করতে চায় না। আচ্ছা বলুন তো, মেন্টর এর কাছ থেকে ইথিক্যাল মার্কেটিং শিখে যদি কেউ  ইউটিউবে চটি গল্প পোষ্ট করবে তাহলে তার দায়ভার কিনো মেন্টর নিবে? জুকারবার্গ ফেসবুক লাইভ জ্যকলিন আর রেশমি আলুর জন্য বানায় নাই। ভালো উদ্দেশ্যে বানিয়েছে। নিশ্চিই বুঝতে পেরেছেন আমি কি বলতে চাইছি।

এবার শেষ করবো। সব কথার মূল কথা হলো, সহজে ইনকাম করার চিন্তা ঝেড়ে ফেলুন। রিসার্চ  করতে শিখুন। বর্তমানে অনেক রিসোর্স রয়েছে যা আমাদের সময় ছিলো না। আমার মতে কোন এক্সপার্ট বড় ভাইয়ের দরকার নাই। তাই কোন বড় ভাইকে একদম সাধারন প্রশ্ন না করে আগে রিসার্চ করুন। আপনার আগ্রহ থাকলে আপনি যে কোন সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ ওয়েব ডিজাইন কি? শেখার পূর্নাঙ্গ গাইডলাইন

তার পরেও যদি কোথাও আটকে যান তবে স্পেসিফিক কারন সহ এক্সপার্টদের প্রশ্ন করুন। আশাকরি ভালো সমাধান পাবেন। আর একটু কৌশলী হওন। মনে রাখবেন, এক্সপার্টরা অনেক ব্যস্ত থাকে। তারা যদি কোন গ্রুপে যুক্ত থাকে তবে গ্রুপে প্রশ্ন করাই উত্তম। কারন অবসর সময়ে তারা ্নতুনদের সাহায্য করার উদ্দেশ্যেই ঐ সকল গ্রুপে সময় দিয়ে থাকে। আর পরিচিত হলে ম্যাসেজে বলতে পারেন, ঐটা ভিন্ন কথা।

আপনার ফ্রিলান্সিং যাত্রা শুভ হোক।

শামীম হাসান
আমার ফেসবুকঃ  http://facebook.com/shamimhsm
আমার ব্লগের হোম পেজ: শামীম হাসান