ইন্টারনেট এর প্রাথমিক ধারনা দিবো আজকে আপনাদেরকে। যেহেতু আপনি ইন্টারনেট এ আমার এই পোষ্টটি পড়ছেন তার মানে হলো যে, আপনি মোটামোটি ভালোই জানেন। তবে আমি কিছু বিষয় তুলে ধরবো যা প্রাথমিক বিষয়গুলি কভার করে।
প্রথমত হলো যে, আপনাকে ইন্টানেট ব্যবহার করতে হলে আপনার ইন্টারনেট কানেকশন দরকার হবে। আপনি মোবাইল ইন্টারনেট, ব্রডব্যান্ড, ওয়াইফাই যে কোন উপায়ে কানেকশন দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। আপনার এলাকায় যদি ব্রডব্যন্ড কানেকশন থাকে তবে আপনি ব্রডব্যন্ড কানেকশন নিযে নিবেন। এতো আপনার খরচ অনেক কম হবে তাছাড়া আপনি আনলিমিটেড ডাউনলোড দিতে পারবেন। আর এখন মোটামুটি বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গায়ই থ্রিজি পাওয়া যায়। তাই এই ব্যাপারে খুব বেশি কিছু লিখলাম না।
ইন্টারনেট তো হয়ে গেলো, এবার আপনি যে সফটওয়ার দিয়ে আমার এই লেখাটি পড়ছেন তা হলো “ওয়েব ব্রাউজার”। অর্থাৎ, আপনাকে ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে হলে আপনার ওয়েব ব্রাউজার লাগবে। তা কম্পিউটার হোক বা মোবাইল হোক।
তবে কম্পিউটার হোক বা মোবাইল হোক, গুগল ক্রোম হলো সবচেয়ে ভালো ব্রাউজার।
চলুন জেনে নেই কম্পিউটারে কি কি ব্রাউজার আছেঃ
১। Google Chrome (গুগল ক্রোম)
২। Mozila Firefox (মজিলা ফায়ারফক্স)
৩। Safari (সাফারি)
তবে যত ব্রাউজার ই থাকুন না কেনো, গুগল ক্রোম ও মজিলা হলো সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্রাউজার। তাই আমি অন্যসকল ব্রাউজারের নাম লিখলাম না। আপনি এর যে কোন একটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে আমি সবসময় গুগল ক্রোম ব্যবহার করি।
চলুন এইবার জেনে নেই মোবাইলে কি ব্রাউজার ব্যবহার করা হয়ঃ
১। UC ব্রাউজার
২। Google Chrome
তবে আমার জানামতে এই দুইটাই সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্রাউজার। আপনি এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন।
চলুন তাহলে এইবার জেনে নেই আপনার কোন কোন জিনিস লাগবে ও কোন কোন ওয়েবসাইট ব্রাউজ করতে হবে বেশি বেশি।
E-mail (ইমেইল):
ই-মেইল হলো আপনার ইন্টারনেটের গুরুত্বপূর্ন অংশ। ই-মেইল ছাড়া আপনি কোন কিছুই করতে পারবেন না। সহজভাবে বলতে গেলে এটা আপনার ইন্টারনেচের ঠিকানার মতো। অনলাইনে যে কোন কাজ করতে গেলে আপনার ইমেইল লাগবে। তো ইমেইল কোথায় পাবেন? আপনি ফ্রিতে ইমেইল খুলতে পারবেন। সবচেয়ে জনপ্রিয় ইমেইল প্রোভাইডার হলো জিমেইল,ইয়াহু। তবে আমি পরামর্শ দিবো জিমেইল একাউন্ট ব্যবহার করার জন্য। মনে রাখবেন, জিমেইল হচ্ছে একটা ইমেইল প্রোভাইডার কোম্পানীর নাম। তবে জিমেইল মানেই ইমেইল। বুঝা গেলো কি? অনেক নতুন ব্যবহারকারীরা এই দুটি জিনিস প্যাচ লাগিয়ে দেয়। অর্থাৎ,কেউ যদি আপনাকে বলে ইমেইল এর ঠিকানা দিতে তবে আপনি জিমেইলের ঠিকানা দিয়ে দিবেন।
এই ভিডিও তে দেখে নিন কিভাবে ইমেইল একাউন্ট করবেন।
Google (গুগল):
আপনার ইন্টারনেট এর সবসময়ের সঙ্গী। গুগল হলো বিশ্বসেরা সার্চ ইঞ্জিন সেখানে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় সবকিছু খুজে নিতে পারবেন। আপনার যা দরকার তা শুধু লিখবেন আর সবকিছু পেয়ে যাবেন। ব্যাস। মূলত গুগল হলো ওয়েব সার্চ ইঞ্জিন। এখানে কোন কিছু লিখে সার্চ দিলে আপনি ঐ সম্পর্কিত সমস্ত ওয়েবসাইটের লিংক পেয়ে যাবেন। তার পর ঐ সব ওয়েব সাইট ভিজিট করে আপনি আপনার কাঙ্খিত তথ্য খুজে বের করতে পারবেন। এটা হলো গুগলের ঠিকানা।
Facebook (ফেসবুক):
নতুন করে আর কি লিখবো ফেসবুক নিয়ে। সব তো আপনারাই জানেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক হলো দুনিয়ার সকল খবরাখবর পাওয়ার অন্যতম মাধ্যম। আপনার সকল বন্ধুদের সাথে কানেক্টেড থাকার মাধ্যম। আর বেশি কিছু লিখলাম নাহ
Youtube (ইউটিউব):
ইউটিউব হলো গুগল কোম্পানীর ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইট। শুধুমাত্র ভিডিও খোজার জন্য আপনি এই ওয়েবসাইটটি ব্রাউজ করতে পারবেন। ইউটিউবে সব ধরনের ভিডিও খুজে পাবেন। যে কোন বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। ইউটিউব হলো বিশ্বসেরা ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইট।
Lets learn Now: উপরের জিনিসগুলি ঠিকঠাক বুঝে থাকলে আপনি আমার তিলে তিলে গড়ে তোলা এই ওয়েবসাইটটি ঠিকঠাক ব্রাউজ করতে থাকুন। ব্যাস। সবকিছু আস্তে আস্তে শিখতে পারবেন।
চলুন তাহলে ইন্টারনেট ব্রাউজ করার কিছু ঠিকানা ও এডভান্স কিছু টিপস জেনে নেই।
Bookmark (বুকমার্ক):
ধরুন, আপনি কোন ওয়েবসাইট প্রতিনিয়ত ব্রাউজ করেন। তাহলে আপনি আপনার সুবিধার জন্য বুকমার্ক করে রাখতে পারেন। অথবা ধরেন যে আপনার কোন ওয়েবসাইট ভালো লেগেছে। আপনি পরবর্তীতে ও সেই ওয়েবসাইটটি ব্রাউজ করতে চান। তাহলে আপনি সেই ওয়েবসাইটটি বুকর্মার্ক করে রাখতে পারবেন। তাতে করে পরবর্তীতে আপনি সে ওয়েবসাইটটি সহজে খুজে বের করতে পারবেন।
ইন্টারনেটের ডাটার হিসাব নিকাশঃ
আপনি অবশ্যই জেনে থাকবেন যে, ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য ডাটার প্রয়োজন পরে। ধরুন আপনি ১ জিবি ডাটা কিনেছেন যা দিয়ে আপনি ১ মাস ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে চলুন এইবার ডাটা সম্পর্কে জেনে নেই।
Data Measurement Chart:
———————————————–
1 kbps (kilo bits per second) = 1000 bits per second
1 Mbps (mega bits per second) = 1000 kilo bits per second.
1 Gbps (giga bits per second) = 1,000 mega bits per second.
মনে রাখবেন যে, ইন্টারনেটের ডাটার হিসাব করা হয় Bit এ আর মেমোরির ডাটার হিসাব করা হয় Byte এ। এই দুই ধরনের হিসাবে ভিন্নতা রয়েছে। আপাতত শুধু এতটুকু মনে রাখলেই হবে যে, আপনি যদি 1 Mbps এর ডাটা প্যাক নেন তাহলে আপনি তার ৮ ভাগের এক ভাগ অর্থাৎ 122 KBps মেইন ডাউনলোড স্পিড পাবেন। পরবর্তীতে এ নিয়ে একটি বিস্তারিত পোষ্ট দিবো। আপাতত এতটুকুই।