গুগল এডসেন্স কি? এড লিমিট, পেমেন্ট নিয়ে বিস্তারিত

গুগল এডসেন্স হলো গুগল এর একটি সার্ভিস যার মাধ্যমে আপনি গুগল থেকে এড নিয়ে সেটা আপনার ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেলে দেখাতে পারবেন। এর মাধ্যমে আপনি টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এর খুটিনাটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আজকের এই পোষ্টে লিখতে চলেছি। বাংলা ভাষায় সম্ভবত এডসেন্স নিয়ে এতো বড় ও বিস্তারিত তথ্য আপনি আর কোথাও পাবেন না। তো চলুন শুরু করা যাক।

Contents

গুগল এডসেন্স কি?

গুগল এডসেন্স গুগল এর একটি এড সেবা। অনেক ওয়েবসাইট ব্রাউজ করতে গেলে আপনি গুগল এর থেকে অনেক এড/বিজ্ঞাপন দেখতে পাবেন। এটিই এডসেন্স এর এড। এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটের মালিক গুগলের থেকে ৬৮% রেভিনিও পেতে পারেন। ধরেন, কোনো কিছু প্রচারের জন্য গুগল অ্যাডস এ আপনি বিজ্ঞাপন দিলেন। গুগল এইগুলি কারো না কারো ওয়েবসাইটি শো করে। এখন যদি সেই এড দেখে কোনো ভিজিটর ক্লিক করে তাহলে আপনি যে টাকা খরচ করলেন তার থেকে ৬৮% টাকা ওয়েবসাইটের মালিক পেয়ে যাবে আর গুগল পাবে বাকি ৩২% টাকা। এভাবে মিলিয়ন মিলিয়ন ওয়েবসাইট গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে এড শো করে টাকা আয় করে থাকে।

আরো পড়ুনঃ
ফ্রিলান্সিং নিয়ে বিস্তারিত গাইডলাইন
ওয়ার্ডপ্রেস গাইডলাইন
ওয়েব ডিজাইন গাইডলাইন

গুগল এডসেন্স কাদের জন্য উপযুক্ত

যারা ওয়েবসাইটের মালিক রয়েছেন ও যাদের প্রতিদিন ওয়েবসাইটে ভালো ভিজিটর আসে, তারা এডসেন্স এর এড দেখিয়ে প্রতিমাসেই ভালো পরিমান টাকা উপার্জন করতে পারেন। অথবা আপনি যদি ইউটিউব চ্যানেলের মালিক হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি সেখানেও বিজ্ঞাপন দেখিয়ে টাকা আয় করতে পারেন।

গুগল এডসেন্স থেকে কত টাকা আয় করা সম্ভব

এটা আনলিমিটেড। আপনি ১০ ডলার থেকে ১ লাখ ডলার বা তারও বেশি আয় করতে পারেন। এটা নির্ভর করে আপনার ভিজিটর এর উপর। যত বেশি ভিজিটর তত বেশি আয়। তবে আপনাকে যদি ধারনা দেওয়ার জন্য বলি তাহলে আপনি প্রতি হাজার পেজভিও এর মাধ্যমে ২ ডলার আয় করতে পারবেন যদি ভিজিটর বাংলাদেশ থেকে হয়। আর আমেরিকা, কানাডা বা অন্য কোনো উন্নত দেশ থেকে যদি ভিজিটর আসে তাহলে আপনি সাধারনত ১০ ডলার আয় করতে পারবেন প্রতি হাজার পেজভিও থেকে। আমি যা বলেছি তা কিন্তু আনুমানিক একটা ধারনা দেওয়ার জন্য বললাম শুধু।

এডসেন্স কত প্রকার ও কি কি?

এডসেন্স ২ প্রকার।

  1. হোস্টেড এডসেন্স বা ইউটিউব এডসেন্স
  2. ওয়েবসাইট এডসেন্স।

হোষ্টেড এডসেন্স এর মাধ্যমে আপনি শুধুমাত্র ইউটিউব থেকে টাকা আয় করতে পারবেন। আর ওয়েবসাইট এডসেন্স থেকে আপনি আপনি আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যম আয় করতে পারবেন।

গুগল এডসেন্স পেতে কি কি লাগে?

আপনাকে গুগল এর নিয়ম মেনে ওয়েবসাইট বানাতে হবে। গুগল এর এডসেন্স প্রোগ্রামে জয়েন করার জন্য আপনাকে গুগল এর এডভারটাইজমেন্ট পলিসি মেনে ওয়েবসাইট বানাতে হবে বা ইউটিউব চ্যানেল বানাতে হবে। ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে আলাদা কোনো নিয়ম নেই। একটি পরিপূর্ন ওয়েবসাইট হলেই আপনি আবেদন করতে পারবেন। ইউটিউব চ্যানেলের ক্ষেত্রে আপনাকে ৪ হাজার ঘন্টা ভিডিও ওয়াচ টাইম পার করতে হবে ও ১ হাজার সাবসস্ক্রাইবার পার করতে হবে। তাহলেই আপনি ইউটিউবের এডসেন্স এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। সারমর্ম হলো:

  1. ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে এটি পরিপূর্ন ওয়েবসাইট লাগবে।
  2. ইউটিউবের ক্ষেত্রে চার হাজার ঘন্টা ওয়াচটাইম ও ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার লাগবে।

কিভাবে গুগল এডসেন্স এ এপ্লাই করতে হয়?

ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে আপনাকে এডসেন্স এর ওয়েবসাইটে রেজিষ্ট্রেশন করে আপনার ওয়েবসাইট এড করতে হবে ও এডসেন্স থেকে একটা কোড আপনার ওয়েবসাইটে রাখতে হবে। সাধারনত কয়েকঘন্টা থেকে কয়েক সাপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

ইউটিউবে এডসেন্স পেতে কি কি লাগে?

ইউটিউবে এডসেন্স পেতে হয়ে আপনাকে ওদের নিয়ম মেনে ভিডিও বানাতে হবে। কপি কন্টেন্ট দিয়ে আপনি এডসেন্স পাবেন না। যাইহোক, আপনি ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার ও ৪ হাজার ঘন্টা ওয়াচটাইম পার করলে এডসেন্স এড করার অপশন পাবেন। এর আগে আপনি এডসেন্স এ এপ্লাই করতে পারবেন না।

এডসেন্স এর এড কিভাবে ব্যবহার করতে হয়?

এডসেন্স পাবার পর আপনাকে এডসেন্স এর কোড আপনার ওয়েবসাইটে বসাতে হবে। সাধারনত ২ প্রকার কোড বসিয়ে এড শো করা যায়।
১। অটো এড
২। ম্যানুয়াল এড

অটো এড কোড দিয়ে অটো এড অন রাখলে গুগল তার ইচ্ছামত এড বসাবে আপনার ওয়েবসাইচে। আর যদি আপনি ম্যানুয়াল এড কোড এর মাধ্যমে এড শো করাতে চান তাহলে আপনি আপনার ইচ্ছামতো যেকোনো স্থানে এড শো করাতে পারবেন।

এডসেন্স এর এড নিয়ে বিস্তারিত ধারনাঃ

  1. অটো এডঃ অটো এড আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটে গুগলের ইচ্ছামত এড দেওয়ার সুযোগ করে দিবে। এটি ভালো প্রফিট হয় এমন সকল জায়গায় এড শো করাবে। আপনি যদি বেশি কিছু না বুঝে থাকেন তাহলে শুধু অটো এড দিয়ে রাখতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে বেশি কিছু করতে হবে না। শুধুমাত্র হেডারে অটো কোড টা দিয়ে রাখলেই হবে। তবে আপনাকে জেনে রাখতে হবে যে, অটো কোড দিলে কি কি ধরনের এড শো করতে পারে।
  2. ইন পেজ/ ডিসপ্লে এডঃ এই এডগুলি আপনার ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট এর ভিতরে শো করবে। হেডার বা ফুটারেও শো করে থাকতে পারে।
  3. ভিগনিটি এডঃ ভিগনিটি এড হলো ওয়েবসাইট ব্রাউজ করার সময় কোনো লিংকে ক্লিক করলে পপ আপ এর মতো করে একটা ডায়লগ বক্স ওপেন হয় যেটা চাইলে ক্লোজ করে দেওয়া যায়। এটাই হলো ভিগনিটি এড।
  4. এঙ্কর এডঃ এটা হলো ওয়েবসাইটের উপরে বা নিচে একটা এড ওপেন হয় যেটা চাইলে মিনিমাইজ করা যায় সেটাই হলো এঙ্কর এড।

এডসেন্স এর এড শো করে না কেনো?

যদি একাউন্টটি নতুন হয়ে থাকে তাহলে অনেক সময় আপনার ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট বুঝতে এডসেন্স কিছু সময় নিয়ে থাকে। এজন্য দেরী হতেই পারে। অনেক সময় ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত সময় নিয়ে থাকে এড শো করতে।

এডসেন্স পাওয়ার পর কি কি লক্ষ রাখতে হবে?

এডসেন্স পাওয়ার পর আপনাকে অনেক কিছুই খেয়াল রাখতে হবে। তা না হলে আপনার একাউন্টটি ডিজেবল হয়ে যেতে পারে। যে সকল বিষয়গুলি খেয়াল রাখতে হবে তা হলোঃ

  • আপনার পেজ সিটিআর ১০ এর বেশি হলেই যেকোনো বিপদ হতে পারে। চেষ্ঠা করবেন আপনার সিটিআর ১০ এর মধ্যেই রাখার। আর সাধারন সিটিআর সাড়ে তিন এর মধ্যে রাখার। এর বেশি যেনো কোনোভাবেই না যায়।
  • যদি আপনার এমন হয় যে, আপনার ড্যাশবোর্ডে ডলার জমা হয় কিন্তু তা অনেক বেশি পরিমানে কেটে নিয়ে যায় তাহলে আপনার বুঝতে হবে যে, আপনার ইনভ্যালিড ক্লিক পড়ছে বেশি যা একাউন্টের জন্য অনেক ক্ষতিকর। এক্ষেত্রে আপনাকে দেখতে হবে কোন এড এর মধ্যে CTR বেশি। সে এড অফ রাখতে হবে।
  • আপনাকে কোনোভাবেই নিজের এড এ নিজে ক্লিক করা যাবে না। এটা খুবই ক্ষতিকর। আপনার একাউন্ট ডিজেবল হয়ে যেতে পারে।

এডসেন্স এর আরপিএম কি ও কত থাকা ভালোঃ

এডসেন্স এর পেজ আরপিএম হলো Revenus Per Page Imprassion। অর্থাৎ প্রতি ১ হাজার পেজভিওতে কত আয় করলেন। আপনার ভিজিটর ভেদে এটা ভিন্ত হতে পারেন। তবে সাধারনত, বাংলাদেশের ভিজিটর হলে প্রতি হাজার ভিজিটর এর জন্য ২ ডলার থেকে ৪ ডলার পর্যন্ত পাবেন। এটা কমবেশি হতে পারে। আর আমেরিকার ভিজিটর হলে আরপিএম ২০ ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকতে পারেন। তবে ৫-১০ হলো ভালো আরপিএম।

এডসেন্স এর এড লিমিট কি?

একটা সময় ছিলো যখন এডসেন্স একাউন্টে ইনভ্যালিড ক্লিক পড়লে সরাসরি একাউন্ট ক্লেজ করে দিতো। পরে গুগল নিয়ে আসলো লিমিট অপশন। সাধারনত স্পামারদের থেকে বেচে থাকার জন্য গুগল নতুন একাউন্টে এড লিমিট দিয়ে থাকে। যার ফলে ঐ এডসেন্স একাউন্টে কোনো এড ই শো করে না।

এডসেন্স এর লিমিট কত দিন থাকে?

এডসেন্স এর লিমিট কতদিন থাকে তা সঠিক করে বলা যায় না। অনেক ক্ষেত্রে দেখেছি ৬ দিনের মাথায় লিমিট শেষ। আবার দেখেছি পুরা ৩ মাসেও লিমিট যায় না। অনেক আছে ৪ মাসেও যায় না। তাবে সাধারনত এক থেকে দেড় মাস লিমিট থাকে।

এডসেন্স পেমেন্ট কখন পাওয়া যায়?

এডসেন্স প্রতিমাসে ২১ তারিখে পেমেন্ট পাঠায়। গত মাসে যা আয় করলেন তা আপনাকে এই মাসের ২১ তারিখে পাঠিয়ে দিবে। এর বাহিরে আপনাকে আলাদা কোনো পেমেন্ট দিবে না গুগল। সাধারনত আপনি এক মাসজুড়ে যা আয় করলেন তা আপনার একাউন্টে মেইন ব্যালেন্স এ যোগ হবে পরবর্তী মাসের ১ তারিখে। তবে ৫-১০ তারিখের মধ্যে হালকা ব্যালেন্স মাইনাস হতে পারে যা খুবই স্বাভাবিক। ঘাবড়াবার কিছু নাই।

এডসেন্স পেমেন্ট কিভাবে পাওয়া যায়?

আপনি এডসেন্স এর পেমেন্ট আপনার যেকোনো ব্যাংকে নিতে পারবেন। চাইলে রকেট একাউন্টেও নিতে পারবেন। তবে ব্র্যাক ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক, এইসকল ব্যাংক সাধারনত ভালো এডসেন্স এর পেমেন্ট নেওয়ার জন্য। চেকেও নেওয়া যায় তবে ব্যাংক ই উত্তম।

এডসেন্স চিঠি কিভাবে পাওয়া যায়?

পেমেন্ট পাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই আপনার এড্রেস ভেরিফাই করতে হবে। সেজন্য গুগল আপনাকে আপনার ঠিকানায় একটা পিন কোড পাঠাবে ডাক যোগে। সাধারনত বাংলাদেশে ১৫ দিন থেকে দেড় মাস পর্যন্ত লাগতে পারে এই চিঠি পেতে। পিন পাওয়ার পর এটা আপনার ভেরিফিকেশনে এড করতে হবে। তাহলে আপনার এড্রেস ভেরিফাই দেখাবে।

এডসেন্স চিঠি কতদিন পর পাওয়া যায়?

স্থানভেদে বাংলাদেশে ১৫ দিন থেকে দেড় মাস পর্যন্ত লাগতে পারে এই এডসেন্স এর চিঠি পেতে। আপনি ভালো হয় ৩০ দিন হলেই আরেকটা চিঠির জন্য অর্ডার করে ফেলবেন তাহলে আর দেরীতে পেলেও সমস্যা নাই। কারন ৩ বার পর্যন্ত আপনি চিঠির জন্য অর্ডার করতে পারবেন যার মধ্যে একই পিন পাঠাবে ওরা। যদি শেষ পর্যন্ত চিঠি নাই পান তাহলে ব্যাংক ষ্টাটমেন্ট দিয়ে ঠিকানা ভেরিফাই করতে পারবেন।

এডসেন্স ভেরিফিকেশন কেনো দরকার হয়?

নিরাপত্তার জন্য এডসেন্স আপনাকে ২ ধরনের ভেরিফিকেশন করতে বলবে। আইডি ভেরিফিকেশন ও এড্রেস ভেরিফিকেশন। আপনাকে যেকোনো সময় ওরা আইডি চাইতে পারে। এক্ষেত্রে আপনাকে আপনার এনআইডি দিতে হবে। এন আইডি দেওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে লক্ষ রাখতে হবে যেনো আপনার আইডি কার্ডের ৪ কর্নার দেখা যায় স্পষ্ট ভাবে।

এডসেন্স এর ট্যাক্স ফরম কিভাবে সাবমিট করতে হয়?

আপনি যদি ইউটিউব থেকে আয় করে থাকেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই ট্যাক্স ফরম দিতে সাবমিট করতে হবে। তা না হলে আপনার আয় থেকে ৩০% পর্যন্ত কেটে রাখতে পারে। যদি আপনি ট্যাক্স ফরমটি সাবমিট করেন তাহলে আপনার থেকে কোনো চার্জ করবে না আলাদা। সাধারন এটা করতে মাত্র ৫ মিনিট সময় লাগে কিন্তু যদি আপনার নামে (.) ডট থাকে তাহলে আপনি একটি ইরর ম্যাসেজ দেখতে পাবেন ও ওরা আপনার আইডি কার্ড চাইবে। সে ক্ষেত্রে আপনাকে আইডি কার্ড দিতে হবে। ভয়ের কিছু নাই এটা ৭ কর্মদিবস এর মধ্যেই এপ্রুভাল হয়ে যাবে। ট্যাক্স ফরম কিভাবে সাবমিট করতে হয় তা নিয়ে ইউটিউবে অনেক ভিডিও আছে দেখে নিতে পারেন।

এডসেন্স এর ব্যাংক একাউন্ট কোনটা ব্যবহার করবেন?

বাংলাদেশের যেকোনো ব্যাংক ব্যবহার করতে পারবেন। তবে সাধারনত ব্র্যাক ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক ব্যবহার করে বেশিরভাগ মানুষ।

একাধিক এডসেন্স এর মধ্যে একটি ব্যাংক ব্যবহার করা যাবে?
হ্যা যাবে। এতে কোনো সমস্যা নাই।

একটি ডিভাইসে একাধিক এডসেন্স ব্যবহার করা যাবে?

আলাদা আলাদা ব্রাউজার দিয়ে ব্যবহার করা যাবে। এটা গুগল এর পক্ষ থেকে কোনো সমস্যা নাই।

এডসেন্স একাউন্ট কেনো ডিজেবল হয়?

যদি ইনভেলিড কোনো কিছু পাওয়া যায় তাহলেই আপনার একাউন্ট ডিজেবল করে দিবে গুগল। এডসেন্স ডিজেবল হলে আপনার ওয়েবসাইট, ইউটিউব কিংবা এডমব কোথাও আপনি এড ব্যবহার করতে পারবেন না। এমনকি আপনি আর একাউন্ট ও খুলতে পারবেন না।

এডসেন্স একাউন্ট ডিজেবল হলে করনীয় কি?

আপনি একবার আপিল করতে পারবেন। আপিলে কিছু না আসলে আপনি শেষ। আর আপনার নাম দিয়ে কখনোই একাউন্ট করতে পারবেন না। ব্যবহার করতে চাইলে অন্য ডিভাইস, অন্য নাম, অন্য নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে হবে।

এডসেন্স লোডিং কি?

আপনি হয়তো এডসেন্স এর লোডিং এর কথা শুনে থাকবেন বিভিন্ন গ্রুপে। যদি আপনার এডসেন্স হারাতে চান তাহলে এইসব চিন্তা করবেন। আর যদি নিরাপদে এডসেন্স থেকে আয় করতে চান তাহলে এইসব এর ধারে কাছেও যাবেন না। এডসেন্স লোডিং হলো গুগল এর নিয়ম কানুন না মেনে অবৈধ উপায়ে বিভিন্ন চুরিচামারি করে ও ট্রিক্স খাটিয়ে বেশি ডলার যোগ করা যা খুবই ক্ষতিকর ও আপনার একাউন্ট বন্ধ হওয়ার জন্য যথেষ্ট।

সবশেষ কথা

এডসেন্স একটা দারুন মাধ্যম টাকা ইনকাম করার। আপনার যদি একটা ওয়েবসাইটে ভালো ভিজিটর থাকে তাহলে আপনি কিন্তু ভালে মানের আয় করতে পারবেন। আশাকরি এই পোষ্টটি পড়লে আপনার এডসেন্স নিয়ে জানার আর বেশি কিছু বাকি থাকবে না। তাও যদি কিছু জানতে জান কমেন্ট করুন। চেষ্ঠা করবো উত্তর দিতে।