Site icon শামীম হাসান শাকিল

এডসেন্স এডস লিমিট কি, কারন ও সমাধান

আপনি যদি ওয়েবসাইটের মালিক হয়ে থাকেন তাহলে এডসেন্স থেকে আয় করছেন নিশ্চই। কিন্তু এডসেন্স এর এড লিমিট হলো একটি যন্ত্রনার নাম যার কারনে আপনার ওয়েবসাইটে এড শো করাই বন্ধ দেয়। আজকের এই পোষ্টে আমরা জানবো কিভাবে আপনি এডসেন্স এডলিমিট সমস্যার সমাধান করতে পারেন।

এডসেন্স এড লিমিট কি?

এডসেন্স এড লিমিট হলো এডসেন্স এর একটি সিষ্টেম যা দ্বারা এডসেন্স আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক কোয়ালিটি যাচাই করে। আপনার ভিজিটর যাচাই করার আগ পর্যন্ত আপনার সাইটে কোনো এড শো করবে না। এটাই এড লিমিট। মূলত, যারা এডসেন্স এর সিষ্টেমকে কাজে লাগিয়ে ভুয়া ট্রাফিক দিয়ে বা নিয়ম ভঙ্গ করে এডসেন্স থেকে আয় করতে চায় ওদের জন্যই মূলত এই এড লিমিট সিষ্টেম নিয়ে এসেছে এডসেন্স। তবে যারা অরিজিনাল ব্লগ বানায় বা কোয়ালিটি কন্টেন্ট দেয় ওদের জন্য এডলিমিট কোনো সমস্যা হয়ে দাড়ায় না।

আরো পড়ুনঃ এডসেন্স এর পেমেন্ট কিভাবে হয়ে থাকে?

এড লিমিট কেনো হয়?

এড লিমিট হওয়ার অনেক কারন আছে। তবে স্বাভাবিকভাবে বলতে গেলে, আপনার এডসেন্সে যদি অস্বাভাবিক কোনোকিছু ঘটে তাহলে এডসেন্স সিষ্টেম মনে করে যে, এই একাউন্টে এড লিমিট দেওয়া উচিত। এখন এটা অনেক কিছুই হতে পারেন।

এড লিমিট এর কারনসমূহঃ

সহজভাবে বলতে গেল, যদি আপনার সাইটে অস্বাভাবিক কিছু ঘটে তহলে নিরাপত্তার জন্য এডসেন্স আপনার একাউন্টটিতে এড লিমিট দিয়ে দিবে।

এডস লিমিট কত প্রকার?

এডসেন্স এর এড লিমিট ২ প্রকার।

যেমনঃ

  1. এডসেন্স এডস লিমিট ফর চেকিং ট্রাফিক কোয়ালিটি
  2. এডসেন্স এডস লিমিট ফর ইনভ্যালিড ট্রাফিক কনসার্ন!

সাধারন লিমিটঃ এই লিমিট হলে আপনার এড শো করবে ও সব স্বাভাবিক থাকবে কিন্তু আপনি এডস লিমিটের নোটিশ পাবেন। আপনি হয়তো অবাক হবেন কিন্তু এটা হলো প্রাথমিক লিমিট। আপনার এড সাধারনভাবেই শো করবে। যদি এই অবস্থায় আপনার সাইটের মধ্যে এডসেন্স এর রোবট ইনভ্যালিড কিছু পায় তাহলে চূড়ান্ত লিমিট দিবে যা হলো লিমিট ফর ইনভ্যালিড ট্রাফিক কনসার্ন।

লিমিট ফর ইনভ্যালিড ট্রাফিক কনসার্নঃ এ লিমিট হলে সাধারনত একেবারেই এড শো করে না। ১% এড ও শো করে না। ইমেপ্রশন ও ক্লিক শুন্য তে চলে যায়। ৭ দিন বা ১৫ দিন পর পর মাঝে মাঝে কিছু এড শো করবে আপনার ট্রাফিক কোয়ালিটি চেক করার জন্য। যদি ইনভ্যালিড কিছু না পাওয়া যায় তাহলে আপনার এড লিমিট ওঠে যাবে।

এড লিমিট হলে কি করবেন?

আপনি যদি একজন জেনুইন ব্লগার হয়ে থাকেন ও আপনার বেশ ভালো সার্চ ইঞ্জিন থেকে ট্রাফিক থাকে তাহলে আপনি দুশ্চিন্তা করবেন না। আপনার রেগুলার কাজ আপনি করতে থাকুন। সাধারনত ১ সাপ্তাহ থেকে দেড় মাসের মধ্যে এড লিমিট অটো চলে যাবে। আপনার কোনো কিছুই করতে হবে না। আর যদি উপরে উল্লেখিত কারনসমূহের কোনো একটা আপনার থেকে থাকে তাহলে তা সমাধান করে ফেলুন। একমাস বা দেড় মাসের মধ্যে এড লিমিট অটো চলে যাবে।

কোড রিমুভ করবো বা নতুন এড ইউনিট বানাবো?

না। এটা ভুল ধারনা। অনেক ইউটিউব চ্যানেলে দাবী করে যে, ওয়েবসাইট থেকে সমস্ত এড কোড রিমুভ করে ফেললে ১ সাপ্তাহের মধ্যে এড লিমিট নোটিশ চলে যাবে। হ্যা এটা সত্যি যে, পলিসি পেজ থেকে নোটিশ চলে যাবে কিন্তু স্থায়ীভাবে এড লিমিট যাবেনা ও এডস ও শো করবে না। আবার যখন দিবেন তখনি এড লিমিট চলে আসবে।তাই এমন কিছু করার কথা চিন্তাও করবেন না। যেমন আছে তেমনই রেখে দিন।

এডস লিমিট থাকা অবস্থায় ড্যাশবোর্ডে কি কি হয়?

আপনার যখন এড লিমিট আসবে তখন থেকে ইমেপ্রশন শূন্য হয়ে যাবে। যদি ইনভ্যালিড ট্রাফিক কনসার্ন লিমিট আসে তাহলে সাধারনত ৭ দিন থেকে ৩০ দিনের মধ্যে এড শো করবে না। মাঝে মাঝে কিছু এড শো করতেও পারে। কিন্তু যদি ইনভ্যালিড কিছু পায় তাহলে আবার লিমিট দিতে পারে। মাঝে মাঝে এমন হয় যে, ২০-২৫ দিন পর থেকে কিছু দিন এড শো করে ৫-৭ দিন তারপর আবার নতুন করে নোটিফিকেশন দিয়ে লিমিট করে দেয়। এমনও হতে পারে। এ ক্ষেত্রে বুঝতে হবে আপনার কোথাও ভুল হচ্ছে তা সমাধান করতে হবে। যখন এড লিমিট পুরুপুরি চলে যাবে তখন পুরুপুরিভাবে ইম্পে্রশন শো করবে ও নোটিশটি ৭ দিন পর্যন্ত থাকবে। তারপর নোটিশটি অটো চলে যাবে।

এড লিমিট থেকে বাচার উপায়

আপনি যদি ভালো ব্লগার হয়ে থাকেন তাহলে আপনি এইসব লিমিট নিয়ে চিন্তা করবেন না। লিমিট আসা নরমাল। লিমিট অটো চলে যাবে। আপনি আপনার কাজ নিয়মতি চালিয়ে যান। একটা বিষয় আপনি খেয়াল রাখতে পারেন যেনো আপনার সাইটে এড এর পরিমান অনেক বেশি না থাকে। কন্টেন্ট এর তুলনায় যেনো এড যথাযথভাবে থাকে। গুগল থেকে ট্রাফিক বেশি থাকলে সাধারনত এড লিমিট আসেই না। আসলেও চলে যায় একটা সময় পরে।

তবে বট বা রোবট ট্রাফিক প্রতিরোধ করার জন্য আপনি আপনার সাইটকে ক্লাউডফ্লেয়ারে এড করে নিতে পারেন এতে করে বট ট্রাফিকগুলি অটো প্রটেক্ট করবে ক্লাইডফ্লেয়ার।

এড লিমিট বেশি হলে কি একাউন্ট সাসপেন্ড হতে পারে?

হ্যা। যদি গুগলের কাছে মনে হয় যে, আপনার সাইটে র্দীর্ঘদিন এড লিমিট আছে যা সমাধানযোগ্য না। তাহলে গুগল আপনার একাউন্টকে একটা সময় সাসপেন্ড বা ক্লেজড করে দিতে পারে। তবে এটা সচরাচর হয় না। কেবল খুব বেশি ভায়োলেশন পাইলেই রোবট এমনটা করে থাকে।

Exit mobile version