চমকে গেলেন নাকি? এ কি ধরনের পাগল টাইপ কথাবার্তা। কিন্তু না। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটিই সর্বাপেক্ষা যুগোপযোগী দাবি হওয়া উচিত অথবা এটি বন্দ হওয়া উচিত। আপনাকে নিশ্চই বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ঘুষের প্রয়োজনীয়তা বর্ননা করতে হবে না। আজ ঘুষ প্রসঙ্গ নিয়ে লিখব।
আমি পাঠ্যবই পড়ছিলাম। হঠাৎ করে পড়াশোনার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছিলাম। মানুষ তো পড়াশোনা করে জীবনকে সুন্দরভাবে সাজানোর জন্যই। জীবনের চাহিদা ভালোভাবে পূরনের জন্য, সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে বাচার জন্যে। তা হওয়ার জন্য যা যা বিষয় দরকার, তা আমরা পড়াশোনা করার মাধ্যমে শিখতে পারি।
না। একদমই নয়। পড়াশোনা করে আপনি জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন। কিন্ত চাকরি কিভাবে জুটবে। আমার মতে যেই যেই দেশের পড়াশোনা সেই সেই দেশের অবস্থার সাথে সঙ্গতি রেখেই হওয়া বাঞ্চনীয়। তাই বাংলাদেশের অবস্থার সাথে মিলিয়ে এ দেশের পাঠ্যপুস্তকগুলো রচিত হওয়া দরকার। সম্প্রতি তথ্য ও প্রযুক্তি নিয়ে একটি নতুন পাঠ্যবই অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। যা একদম সময়োপযুগী সিদ্বান্ত। শিক্ষাব্যবস্থায় এটি দরকার এ কারনে যে, আমাদের দেশে তথ্যপ্রযু্ক্তির দ্রুত বিস্তার ঘটছে।
কিন্তু তথ্য প্রযুক্তির সাথে সাথে আমাদের দেশে আরো অনেক কিছুর বিস্তার ঘটছে যা আমি ব্যক্তিগতভাবে অনুভব করছি।
যদি আমি সুস্থ মানসিকতার হয়ে থাকি, তবে প্রত্যেকটি সুস্থ মানসিকতার মানুষেরই অনুভব করা দরকার যে, সম্প্রতি ঘুষ আমাদের জীবেনের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন শব্দ। সকল ক্ষেত্রেই এ মহান শব্দটি আমাদের সহায়তা করছে। এ মহান শব্দটি যে কোন বিপদ আপদ থেকে আামাদের দ্রুততার সাথে পরিত্রান ঘটিয়ে দিচ্ছে।শুধু তাই নয়, আমাদের সুন্দভাবে বাচার জন্য যে চাকরি আমরাদের অবলম্বন, তা অনেকটা এ মহান শব্দের যথাযথ ব্যবহারের উপর ই নির্ভর করছে।
বলতে গেলে বাংলাদেশের মানুষদের পাঁচটি অপরিহার্য চাহিদার সাথে একটি চাহিদা যুক্ত হয়ে গেছে। তা হলো ঘুষের সথাযথ বন্টন। ইসলামে চরম বাধা থাকলেও এ যেনো আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। অনেকে এটিকে নিত্যদিনের কর্ম হিসাবেই দেখে। শুধু এ শব্দের যথাযথ ব্যবহার করতে পারেনি বলে এ দেশের হাজার হাজার মেধাবী তরুন চাকরীবিহীন বেকার জীবন যাপন করছে। তাহলে তার কষ্ঠ করে পড়াশোনা করে কি লাভ হলো? কোন লাভই হলো না। যে পড়াশোনা একজন মানুষকে যোগ্যতার অসনে নিয়ে যেতে পারেনা, শুধুমাত্র ঘুষ সঠিকভাবে সঠিক যায়গায় না দেওয়ার জন্য, সে পড়াশোনা আমি বলবো ব্যর্থই।
আমি দেখেছি পড়াশোনা শেষ করে অনেক যুবক মামা, ফুফাসহ বিভিন্ন আত্নীয় খুজে বেড়ায়। যেনো শুধুমাত্র ঘুষটি ভালোভাবে সঠিক যায়গায় দেওয়া যায়।সাধারনত, এম.পি দের সঠিক যায়গা বলে গন্য করা হয়ে থাকে। মন্ত্রী হলে তো কখাই নেই। হায়রে পড়াশোনা। যদি পড়াশোনা করার পর ঘুষ এতোই বাধ্যতামূলক হবে তাহলে কেনো আমাদের পাঠ্যপুস্তকে “ঘুষ বন্টন” বা ঘুষ নিয়ে কোন অধ্যায় আমরা কেন পাইনি??? যদি পেতাম, তবে তো আর আমাদের পড়াশোনার পর এতো বড় একটা ভাবনা ভাবতে হতো না।
আর যাই হোক, পুস্তক লেখকের তো কোন অভাব হবে না। আমাদের দেশে সংসদ সদস্য তো আর কম নেই। তারা কন্ট্রিবিউট করলে ঘুষ বন্টনের অনেক অনেক অধুনিক পদ্বতির কথা আমরা স্কুল থেকেই জানতে পারতাম। স্কুলে থেকে টাকা পয়সা জমিয়ে পড়াশোনা শেষ করে শুধু দিয়ে দিতাম।বাড়তি ঝামেলাই হতোই না।
আমার জেলে যাওয়ার ইচ্ছা নেই বলে হালকাভাবে বলে শেষ করে দিলাম। তার পরেও যদি তাদের লজ্জা না হয় তা হলে দুর্ভাগ্য আমাদের জাতির। ভুল করেছি আমি এইরকম একটি ভীবৎস বর্তমান সমাজব্যবস্থায় জন্ম নিয়ে। যেখানে মেধার থেকে বেশি মূল্যায়ন করা হয় সঠিক ভাবে ঘুষ বন্টনকে।
মন্তব্যের ঘরে অনেকে আপনাদের মতামত প্রকাশ করবেন জানি। কিন্তু যা লিখতে চেয়েছি, দয়াকরে তার বাহিরে কোন প্রসঙ্গ টানবেন না। শিরোনাম নিয়ে অনেকে আপত্তি করতে পরেন। কিন্তু এ শিরোনামটি শুধুই ক্ষোভ আর প্রতিবাদের শিরোনাম।
সবাই ভালো থাকুন
সমালোচনা সাদরে আমন্ত্রিত
ফেসবুকে আমি শামীম হাসান শাকিল